ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪

সেই ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিলেন ট্রাম্প 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৬, ২৬ নভেম্বর ২০২০

এক সময়ের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া যোগসূত্র নিয়ে এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা বলার কারণে বরখাস্ত হয়েছিলেন মাইকেল ফ্লিন।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। বলা হয়, এই ক্ষমার মাধ্যমে একজন নিরাপরাধ মানুষ পক্ষপাতিত্ব ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

ক্ষমা ঘোষণা করার পর ট্রাম্প টুইট করে অভিনন্দন জানান ফ্লিন ও তার পরিবারকে। ফ্লিনও বাইবেলের একটি অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে টুইট করেন।

২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ইস্যুতে আইন মন্ত্রণালয় যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল, তার মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ট্রাম্পের এই উপদেষ্টা। তিনি ২০১৭ সালে স্বীকার করেন যে, রাশিয়ার দূতের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এ বিষয়ে তিনি এফবিআইকে মিথ্যা বলেছেন। পরে অবশ্য তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেন।

২২ মাসের অনুসন্ধানের পর যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষপের বিষয়ে তদন্ত শেষ করে। তাতে বলা হয়, ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা তার কোনো সহযোগির রাশিয়া কানেকশনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন করেন ফ্লিন। ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এতটাই বেড়েছিল যে, ভোটে জেতার পরের দিনই ফ্লিনের নাম নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক বিষয় ও সামরিক ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের মুখ্য কাউন্সিলর হিসেবে ঘোষণা করেন। একাধিক অনুষ্ঠানে তাদের এক সঙ্গে দেখা যায়।

সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। চেয়ার পাওয়ার মাত্র ২৩ দিনের মাথায় ফ্লিনকে পদ থেকে সরিয়ে দেন ট্রাম্প। অভিযোগ, ওয়াশিংটনে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফ্লিন। সেখানে রাশিয়ার ওপর জারি করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দেন ফ্লিন।

ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করে, ফ্লিন ওই বৈঠকের বিষয়ে সরকার ও এফবিআই-এর কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। ২০১৭ সালে ফ্লিন দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন তুলে নেন। তার সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। 

অবশেষে ফ্লিনের ওপর থেকে সমস্ত অভিযোগ তুলে নিয়ে ক্ষমা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

সাংবিধানিকভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ক্ষমা করার অধিকার আছে। বারাক ওবামা তার শাসনকালে আট বছরে ২১২ জনকে ক্ষমা করেছিলেন। আর ট্রাম্প ক্ষমতার চার বছরে ক্ষমা করেছেন ২৮ জনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে কম ক্ষমা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি